*পরিবার পরিকল্পনা ডিজিটাইজেশনঃ মির্জাপুর- সম্ভবনা এবং চ্যালেঞ্জেস**
মাঠ পর্যায়ে পরিবার পরিকল্পনা ডিজিটাইজেশন এখন সফলতার চুড়ান্ত পর্যায়ে। আইসিডিডিআর,বি এবং মেজার্স ইভালুয়েশন এর সহযোগিতায় আমরা এখন অনেক দূর এগিয়েছি। অনলাইনে খানা এবং পপুলেশন রেজিস্ট্রেশন প্রায় শতভাগ। FWA এবং HA সরাসরি PRS করেছেন। অন্যান্য সুপারভাইজারগণ সহযোগিতা প্রদানকরেছেন আন্তরিকভাবে। এরপরে FWA গন সক্ষম দম্পতির 64% সম্পন্ন করেছেন।( 66% এলাকায় FWA রয়েছে)। প্রায় দুই হাজার গর্ভবতী অনলাইনে এন্ট্রি হয়েছে। যাদের দ্বিতীয় রাউন্ড শেষ করছেন তাদের মাসিক প্রতিবেদন অটোমেশন পদ্ধতিতে হচ্ছে। ট্যাবের সাহায্যে ডিজিটাল কনটেন্ট এর ব্যবহারে উদ্বুদ্ধকরন পদ্ধতিতে পেয়েছে নতুন মাত্রা। প্রায় ৯০% স্টাফের রয়েছে ফেসবুক একাউন্ট। ফেসবুক গ্রুপে কার্যক্রম শেয়ার করা হচ্ছে প্রতিদিন। এছাড়া মেসেঞ্জার গ্রুপ ব্যবহার করে তথ্য আদান প্রদান করছেন প্রতিনিয়ত। ফেসবুক পেইজ এবং ওয়েভ পোর্টাল ব্যবহার করে কার্যক্রম দৃশ্যমান করার প্রচেষ্টা রয়েছে প্রতিনিয়ত। FPI গণ সুুপারভিশন মডিউল ব্যবহার করে ডিজিটাল সুপারভিশন এবং ট্যাবে ডিজিটাল কনটেন্ট ব্যবহার করছেন। FWV গণ eMIS শুরু করেছেন। কিছু SACMOও eMIS শুরু করেছেন। আমাদের নবীন এবং প্রবীন FWA গণ এ কাজ অত্যন্ত সফলতার সাথে সম্পন্ন করছেন। তাই বলা যায় মির্জাপুরে পরিবার পরিকল্পনায় ডিজিটাইজেশন আর বেশি দূরে নয়। তবে যেহেতু FWA এর প্রায় 34% পদ শুন্য এটা একটি প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। এছাড়া সফটওয়্যারটি উন্নয়নে যেহেতু কার্যক্রম চলমান তাই সামান্য সমস্যা রয়েছে বলে মনে হয়। এখন অফিস হতেই প্রত্যন্ত এলাকার দম্পতির উপাত্ত যাচাই করা সম্ভব। সুপারভাইজরি টুল ব্যবহার করে সংযুক্ত তথ্যগুলো প্রদান করা হল। ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিবার পরিকল্পনা পিছিয়ে নেই। আগামীতে বরং নেতৃত্ব দিবে আমাদের বিশাল কর্মী বাহিনী। এর প্রমাণ মির্জাপুরসহ টাংগাইলের সকল উপজেলা ইতিমধ্যে দেয়া শুরু করেছে। পরিশেষে আইসিডিডিআর, বি এবং মেজার্স ইভ্যালুয়েশনকে ধন্যবাদ প্রদান করছি। যাদের টেকনিক্যাল সহযোগিতা এবং প্রদেয় ট্যাব আমাদের ডিজিটাইজেশনে সহযোগিতা করছে। সর্বোপরি আমাদের স্টাফগন অক্লান্ত পরিশ্রম করে কাজটি সফল করছেন। সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ। উর্ধতন কর্মকর্তাগণের বিশেষ দৃষ্টি আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করেছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস